লেটার টু আমেরিকা | ৯/১১ এর প্রকৃত উদ্দেশ্য ও খোলা চিঠি

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।

৯/১১ হামলার পর অ্যামেরিকা ও তাদের বন্ধুদের প্রকাশিত হাজারো মনগড়া সংবাদের ভিড়ে হারিয়ে গেছে হামলার প্রকৃত উদ্দেশ্য ও বিবৃতি, যা ওসামা বিন লাদেন (আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুন) এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয়েছিলো। অ্যামেরিকার দেখানো পথে হেঁটে যাওয়া একদল বাঙ্গালী কলামিষ্ট, যাদের দাবী হচ্ছে এই হামলা অ্যামেরিকারই একটি সাজানো নাটক যেন তারা মুসলিমদের উপর আক্রমণের সুযোগ পায়; এমন দাবী মূলত অ্যামেরিকাকে অপ্রতিরোধ্য ও শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে দেখানোর ঘৃণ্য কৌশল। কথিত বুদ্ধিজীবী কর্তৃক এমন মনগড়া থিউরির প্রকৃত উদ্দেশ্য মুসলিম যুবকের অন্তরে এই বিশ্বাস স্থাপন করা যে, মুসলিম জাতির পক্ষে অ্যামেরিকার মত সুরক্ষিত একটি রাষ্ট্রে আঘাত হানার শক্তি নেই। অথচ বিগত ২০ বছর ধরে এই দুর্বল জাতিই আফগানিস্তানে অ্যামেরিকান সেনাদের লাশের কফিন কার্গো বিমান ঠেসে ফেরত পাঠিয়েছে, অর্থনীতির কোমর ভেঙ্গে হাতে ঋণের থালা ধরিয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করেছে। আফগানিস্তানে চরম অপমানিত হয়ে দেশে ফিরে অ্যামেরিকানরা তালেবানদের ব্যাপারে ‘জঙ্গি’ শব্দ ব্যবহার বন্ধ করেছে, তাদের ‘যোদ্ধা’ হিসেবে পরিচয় দিতে শিখেছে। কেননা এতোদিন তাদের অভিহিত ‘জঙ্গী দমনে’ তারা ব্যর্থতা স্বীকার করতে চায়না। যাইহোক, আফগানিস্তানের এই বিজয় পুরো জাতির বিজয়। মক্কা বিজয়ের পর মানুষ যেমন দলে দলে আল্লাহর সাহায্য প্রত্যক্ষ করে ইসলামের ছাঁয়াতলে এসেছিলো, এখনও তাই হয়েছে। তালেবানদের সাধারণ ক্ষমা, বন্দীদের সাথে সম্মানজনক আচরণ আর সকল সমর বিশ্লেষণের বিরুদ্ধে বিজয় প্রমাণ করে দিয়েছে, আল্লাহ মুসলিমদের সাথেই আছেন।

৯/১১ হামলা ছিলো মুসলিম জাতির জন্য এই শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ও সুদূরপ্রসারী একটি সিদ্ধান্তের প্রথম ধাপ, এর দূরদর্শিতা অ্যামেরিকা ঠিকই বুঝেছে, শুধু বোঝেনি অ্যামেরিকার নাগরিকত্ব প্রত্যাশী কিছু স্বার্থলোভী নামে মাত্র মুসলিম। নিশ্চয়ই আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য, বিজয় আমাদের প্রাপ্য, শুধু আমাদের যা করতে হবে তা হলো এক আল্লাহর প্রতি পূর্ন আস্থা রেখে লড়াই চালিয়ে যাওয়া। নিজের ঘরে অ্যামেরিকান ড্রোন পড়ার আগেই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা অ্যামেরিকার মাটিতে পা রাখবো; তবে ইমিগ্রেন্ট নয়, আল্লাহর সাহায্যে বিজয়ী হিসেবে।

এই চিঠিটি ওসামা বিন লাদেন (আল্লাহ তাঁর প্রতি রহম করুন) কর্তৃক ৯/১১ হামলার পর প্রকাশিত হয়েছিলো। সঙ্গত কারণেই আজ ২১ বছর পর এর প্রাসঙ্গিকতা খুঁজে পেয়েছে বিশ্ব। বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের জন্য চিঠিটি বাংলায় অনুবাদ করা হলো। অনুবাদের ভূলভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি।

Previous Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *